বন্ধ্যাত্ব ও স্ত্রীরোগ নিয়ে চিকিৎসা করতে India যাওয়ার কথা ভাবছেন ? কিন্তু বুঝতে পারছেন না কিভাবে সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি খুঁজবেন, বা কোথায় চিকিৎসা করাবেন ? কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কতো খরচ হবে, কতদিন থাকতে হবে – এইসব নানাবিধ প্রশ্ন আমাদের মাথায় আসে । সবচেয়ে বড়ো চিন্তা, যে Clinic এ কিংবা যে ডাক্তার এর কাছে যাচ্ছি, সেটা সঠিক চিকিৎসা দেবে কি তো ? এইসব প্রশ্নের উত্তর না জেনে শুধুমাত্র লোকমুখে শুনে কোনোরকম সিদ্ধান্ত নেবেন না। আসুন, আমরা দেখি ঠিক কি কি প্রশ্ন করবেন এবং তার সঠিক উত্তর কি।
প্রথমত জানতে হবে আপনার বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসার প্রয়োজন আছে কিনা। Renew এই ক্ষেত্রে অন্যান্য IVF Centre এর থেকে আলাদা, কারণ আমরা শুধুমাত্র বন্ধ্যাত্ব নিয়ে চিকিৎসা করি না, সমগ্র স্ত্রীস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করি। অনেক সময় দেখা গেছে, অন্যান্য IVF Centre যখন IVF করতে বলছে, আমাদের কাছে প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতিতে গর্ভধারণ সম্ভব হয়েছে। তাই আমাদের পাবেন সঠিক মূল্যায়ন ও চিকিৎসা।
আমাদের সবচেয়ে বড়ো লাভ হলো প্রতিমাসে আমাদের চিকিৎসকদল বাংলাদেশে আসেন। সেইজন্য প্রাথমিক চিকিৎসা আমরা বাংলাদেশে বসেই শুরু করে দিতে পারি। এর সবচেয়ে বড়ো লাভ হলো আপনাকে India তে কম দিন থাকতে হবে। যদি IVF করতে যান এবং আমাদের চিকিৎসকদের পরামর্শে থাকেন, তাহলে ১৫-১৮ দিন আপনাকে India তে থাকতে হবে, তার অধিক না।
IVF করার জন্য খরচের একটা পরিষ্কার ধারণা থাকা খুব প্রয়োজন। তারজন্য দেখে নিন, আপনার চিকিৎসা পদ্ধতি ঠিক কি । মোটামুটি ভালো যেসব Clinic আছে, তাদের মধ্যে IVF এর খরচ – এ সামান্য তারতম্য। তাহলে একটা IVF-এর সাথে অন্য IVF-এর খরচের তফাৎ কোথায় ? এর সঠিক ব্যাখ্যা হচ্ছে, দাম বৃদ্ধির প্রমুখ কারণ ইঞ্জেকশন। এই ইঞ্জেকশন-এর দামের ওপর নির্ভর করে IVF এর খরচ।
আর একটা জিনিস জেনে নেওয়া খুব জরুরী। পরিষ্কার ভাবে জেনে নিন, Package-এর মধ্যে কোন কোন পদ্ধতির দাম ধরা আছে, যাতে একবার চিকিৎসা শুরু হয়ে গেলে আপনাকে অতিরিক্ত মূল্য না দিতে হয়।
শুধু ভালো Clinic বা খরচ কম কিনা দেখলেই হবে না, যে চিকিৎসক আপনার চিকিৎসা করবে, সে কেমন তা জানা সবচেয়ে জরুরী। চিকিৎসক-এর অভিজ্ঞতা, ডিগ্রি, সফলতার হার — এগুলো জানা দরকার। পারলে Google-এ ডাক্তারের নাম দিয়ে Search করুন। দেখুন বাকি রুগীদের কি মূল্যায়ন, তারপর সিদ্ধান্ত নিন। চিকিৎসক আপনার সাথে কতক্ষন সময় দিচ্ছে, আপনার সমস্যা বুঝতে পারছেন কিনা, এগুলো দেখুন এবং সিদ্ধান্ত নিন।
যে Clinic-এ আপনি চিকিৎসা করাবেন, তার বিশ্বাস যোগ্যতা কতটা ও কার্যপ্রণালী কেমন তা জানাটা সবচেয়ে জরুরী। Clinic টি কেমন তা জানার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, Google Rating দেখুন। পারলে যেসব রোগী Clinic-এ চিকিৎসা করিয়েছেন, তাদের সাথে কথা বলুন। যারা সাফল্য পেয়েছেন চিকিৎসাতে, তাদের সাথে কথা বলার সাথে সাথে চেষ্টা করুন যারা সাফল্য পায়নি সেইসব দম্পতিদের সাথে ও কথা বলার। তাহলে গোটা ছবিটা বুঝতে পারবেন। সবশেষে, Success Rate কত, সঠিক হিসেবে কত, জানার চেষ্টা করুন। কিছু রুগীর সাথে কথা বললেই জানতে পারবেন, কিংবা একটা সম্যক ধারণা তৈরী হবে।
শুধুমাত্র বাংলাদেশী অতিথিদের জন্য Renew -তে একজন অতিথি বন্ধু আছে যারা Renew তে চিকিৎসা করিয়েছেন বা চিকিৎসাধীন তারা সবাই ওনাকে চেনেন। ওনার নাম গৌরীদি, উনি Dr Rajeev Agarwal -এর সাথে গত 15 বছর ধরে কাজ করছেন। ফোন নম্বর +91 62922 69053.
আজকাল Visa পাওয়া, তার উপর Medical Visa পাওয়া এক বিরাট সমস্যা। এই সমস্যার সমাধান করতে সরাসরি Renew Kolkata’ র সাথে যোগাযোগ করুন।
সৌগত মুখার্জী +91 6292269082
একজন নিঃসন্তান দম্পতি আমাদের ক্লিনিকে আসার পর রোগ নির্ণয়ের জন্য কিছু রক্ত পরীক্ষা করে দেখা হয় উভয় স্বামী এবং স্ত্রীর। এবং তাদেরকে বলে দেওয়া হয় মাসিক এর দ্বিতীয় দিন থেকে তাদের স্ক্যানিং শুরু হবে যা ক্রমে ৬ নং, ৭নং , ৯নং করে ১৪ নং দিন বা তারপর অবধি চলবে। রক্ত পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ঠিক করা হয় কোন ধরণের চিকিৎসা করা হবে, IUI না IVF।
IUI এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে প্রথমে স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয় এবং স্বামীর বীর্যের কিছু পরীক্ষা করে দেখা হয় বীর্যের গুণমান কিরূপ। বীর্যের গুণমান নির্ণয় এর জন্য আমার ক্লিনিক দুই ধরণের পরীক্ষা করে থাকে Semen Analysis এবং DFI, যার মধ্যে দিয়ে আমরা বুঝতে পারি স্বামীর বীর্য গুণগত দিক থেকে সঠিক কী না। অন্যদিকে স্ত্রী মাসিকের দ্বিতীয় দিন থেকে শুরু হয় স্ক্যানিং। এই স্ক্যানিং এর মাধ্যমে আমরা স্ত্রীর জরায়ুতে থাকা ডিমের সংখ্যা পর্যবেক্ষণ করতে পারি এবং মাসিকের দ্বিতীয় দিন থেকেই ওষুধ এবং ইঞ্জেকশন তার সাথে রক্তের নমুনা পরীক্ষা চলতে থাকে। সাথে সাথে চলতে থাকে স্ক্যানিং। এই ওষুধ এবং ইঞ্জেকশন এর মাধ্যমে মাসিক এর দ্বিতীয় দিনে যে সকল ডিম আমরা পর্যবেক্ষণ করে ছিলাম সেগুলিকে বাইরে থেকে পুষ্টি দিয়ে আরও সুন্দর পরিপক্ক করে তোলা হয়। এই স্ক্যানিং মাসিকের দ্বিতীয় দিন থেকে শুরু হয়ে ক্রমে ৬ নং দিন, ৯নং দিন এবং তারপর ১৪ থেকে ১৮ নং দিন পর্যন্ত চলে। এই পর্যায়ে একটা সময়ে এসে ডাক্তাররা বুঝতে পারেন যে এইবার এই ফলিকল গুলি বিনষ্ট হয়ে তার থেকে ডিম বেরিয়ে আসতে পারে ঠিক তার ১২ ঘন্টা আগে আরও একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় যাতে এই প্রক্রিয়াটি সঠিক ভাবে সঠিক সময়ে হয়। এই ইঞ্জেকশনটি দেওয়ার ১২ ঘন্টা পর প্রথম IUI টি করা হয় এবং ২৪ ঘন্টা পর দ্বিতীয় IUI টি করা হয়।
এই IUI চলাকালীন স্বামীর থেকে বীর্য সংগ্রহ করা হয়। এবং নানা পরীক্ষার মাধ্যমে সেই বীর্যটি থেকে মৃত শুক্রাণু গুলিকে আলাদা করে ফেলা হয়। এবং জীবন্ত শুক্রাণু গুলিকে স্ত্রীর শরীরে প্রবেশ করানো হয়।এই প্রক্রিয়াটি করতে সর্বোচ্চ ২ ঘন্টা সময়ের প্রয়োজন হয়। এবং এই প্রক্রিয়ার শেষে ১৮ নং দিন থেকে Pregnancy পরীক্ষা করানোর কথা বলা হয়ে থাকে।
এইবার আসা যাক IVF এর কথায়। IVF করার পরামর্শ সেই সমস্ত দম্পতিদেরকেই দেওয়া হয়ে থাকে যাদের মূলত বয়স একটু বেশির দিকে বা দম্পতির রক্তের নমুনার Report ততটাও ভালো নয় বা রোগীনী PCOD, বা PCOS, জরায়ুতে টিউমার এই সমস্ত রোগে আক্রান্ত। অন্যদিকে রোগীর যদি বীর্যের গুণগত মান যদি সঠিক না হয় সেই ক্ষেত্রেও IVF এর পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। IVF প্রক্রিয়াটি একটু সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াতেও প্রথমে রক্ত এবং বীর্যের নমুনা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে রোগীর বর্তমান শারীরিক অবস্থা সুচিত করা হয়। তারপর মাসিকের দ্বিতীয় দিন থেকে শুরু হয় স্ক্যানিং, রক্তের নমুনা পরীক্ষা এবং ওষুধ ও ইঞ্জেকশন। রক্তের নমুনা পরীক্ষা ও স্ক্যানিং এর মাধ্যমে ওষুধের ডোজ নির্ধারণ করা হয়। এবং এই ওষুধ ও ইঞ্জেকশন সহায়তা করে মাসিকের দ্বিতীয় দিনে স্ক্যানিং এর মাধ্যমে দেখা ফলিকল গুলির সঠিক পুষ্টি এবং বৃদ্ধির। কারণ এই ফলিকল গুলির মধ্যেই রয়েছে ডিম। যদি শরীর তার নিজের কায়দায় চলে তাহলে প্রতিমাসে আমাদের শরীরে ফলিকল বিনষ্ট হয়ে একটি বা দুটি ডিম এই ফলিকল এর বাইরে আসে কিন্তু আমরা Clinic এ সঠিক মাত্রায় ওষুধ এবং ইঞ্জেকশন ব্যবহার করে কিছু বেশি সংখ্যক ডিম উৎপন্ন করার চেষ্টা করি। যাতে বেশ কিছু সংখ্যক সুস্থ ভ্রুণ আমরা Lab এ তৈরী করতে পারি। একটি নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত ওষুধ ইঞ্জেকশন চলার পর একটি নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে ঐ ফলিকলস গুলির মধ্যে যত সংখ্যক ডিম উৎপন্ন হয়েছে তা বিশিষ্ট চিকিৎসকদের সহায়তায় জরায়ুর থেকে বাইরে বার করে আনা হয়।
রোগীনীর সাথে এই দীর্ঘ মেয়াদি প্রক্রিয়াটি চলার সময় তার স্বামীর বীর্যের গুণগত পরীক্ষার সাথে সাথে বীর্যটি কোনো রকম জীবাণু দ্বারা সংক্রামিত কি না সেটিও পরীক্ষা করে দেখা হয়। এবং শেষ পর্যায় বীর্য সংরক্ষণ করেও রাখা হয় জরুরী অবস্থার জন্য।
ডিম সংগ্রহের দিন পুনরায় রোগীনীর স্বামীর থেকে বীর্য সংগ্রহ করে নানা প্রক্রিয়ায় তার থেকে সবথেকে ভালো শুক্রাণু গুলিকে আলাদা করে নেওয়া হয়।
একদিকে স্ত্রীর শরীর থেকে ডিম সংগ্রহ করা হয় অন্যদিকে স্বামীর থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করে একটি নির্দিষ্ট উষ্ণতায় নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেগুলির মিলন ঘটানো হয়। এবং সেই ভ্রুণটিকে নির্দিষ্ট উষ্ণতায় ৫ দিন পর্যন্ত মানব শরীরের বাইরে বড় করে তোলা হয়। এই ভ্রুণটিকে বলা হয় ব্লাস্টোসিস। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডাক্তারবাবুর পরামর্শে এই ভ্রুণ গুলির Biopsy করা হয়ে থাকে ভ্রুণের জিনগত গুণমান বিচার করার জন্য। তবে সব ভ্রুণই যে ৫ দিন পর্যন্ত দেহের বাইরে বড় হতে পারবে তা নয়, কিছু কিছু ভ্রুন ৩ দিন পর্যন্তই বড় হতে পারে। আবার কিছু ভ্রুণ একটুও বড় হতে পারে না, যা আমরা discard করে দিই।
এবার আসা যাক সংরক্ষণ এর কথায়। ভ্রুণ তৈরী হয়ে গেলেও রোগীনীর শারীরিক অবস্থা উপযুক্ত নাও থাকতে পারে ভ্রুণটি প্রতিস্থাপন এর জন্য। সেক্ষেত্রে আমরা ভ্রূণ গুলিকে সুরক্ষিত ভাবে straw এর মধ্যে liquid Nitrogen এর মধ্যে যার উষ্ণতা -১৯৬°C, প্রায় ১০ বছর পর্যন্ত, ভ্রুণ গুলিকে ঠিক যে অবস্থায় সংরক্ষণ করে রাখা হয় ১০ বছর পরও একই অবস্থায় থাকে।
যখন ডাক্তারবাবু মনে করেন রোগীনী এখন ভ্রুণ প্রতিস্থাপন এর জন্য প্রস্তুত বা তার শরীর প্রস্তুত ঠিক সেই সময় থেকে পুনরায় স্ক্যানিং এবং রক্তের নমুনা পরীক্ষা তার সাথে ওষুধ এবং ইঞ্জেকশন এর দ্বারা একটি সঠিক দিন এবং সময় নির্ধারণ করা হয়, যে সময় ভ্রুণটি রোগীনীর শরীরে রোপন করা হয়। এবং ১২-১৫ দিন পর Pregnancy পরীক্ষা করতে বলা হয়।